স্বদেশ ডেস্ক:
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে দ্বিতীয় দফায় করা আবেদন ফেরত দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এএসএম আবদুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনটি ফেরত দিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের সিনিয়র বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কোন বেঞ্চে জামিন আবেদনটি উত্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ৩১ জুলাই এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে গত ৩ সেপ্টেম্বর আবারও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
খুরশীদ অলম খান জানান, ইতিপূর্বে যে বেঞ্চ জামিন আবেদনটি খারিজ করেন, সেই বেঞ্চ বর্তমান বেঞ্চের চেয়েও জ্যেষ্ঠ বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছিল। এ কারণে বর্তমান বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আরও সিনিয়র কোন বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে জামিন আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক। রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছর কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। বিচারিক আদালতের দেওয়া এ সাজা বাতিল ও খালাস চেয়ে ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন খালেদা জিয়া।
চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে। একই সঙ্গে মামলায় খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে দেওয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করে বিচারিক আদালতে থাকা মামলাটির নথি তলব করে হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে নথি পাঠাতে বলা হয়। বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি ২০ জুন হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
এর পর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেন তার আইনজীবীরা। পরে শুনানি নিয়ে গত ৩১ জুলাই খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।